শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর সম্পৃক্ততা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ক্ষেপে যান গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন ‘খামোশ’ চিনে রাখবো, চিনে রাখবো। পয়সা পেয়ে শহীদদের অশ্রদ্ধা করো তোমরা, আশ্চর্য।’ ড. কামাল হোসেনের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতারা। দলটির নেতারা মনে করেন, ড. কামাল সাংবাদিক সমাজকে হেয় করেছেন। সাংবাদিকদের নিয়ে কটূক্তি করেছেন। চাইলে সাংবাদিকরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
শুক্রবার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান ড. কামাল। এ সময় যমুনা টেভিশনের এক রিপোর্টার ড. কামাল হোসেনকে প্রশ্ন করেন ‘জামায়াতের বিষয়ে আপনাদের সবশেষ অবস্থান কী? তারা আর আপনারা তো একই মার্কায় নির্বাচন করছেন।’ এমন প্রশ্ন শুনেই তেলে-বেগুনে ক্ষেপে যান ড. কামাল। এমনকি ওই রিপোর্টারের নাম জানতে চান। কত পয়সা পেয়েছেন এই প্রশ্নগুলো করতে? চিনে রাখবো, চিনে রাখবো। পয়সা পেয়ে শহীদদের অশ্রদ্ধা করো তোমরা, আশ্চর্য।’ ‘খামোশ’ ইত্যাদি। বুদ্ধিজীবী দিবসে এমন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সমালোচনা উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গণেও।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, ড. কামাল হোসেন সাংবাদিক সমাজকে হেয় করেছেন, কটূক্তি করেছেন। সাংবাদিকদের নিরপেক্ষতা ও সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মুখে এটা সাজে না। তিনি একজন সংবিধান প্রণেতা ও সংবিধানের সবকিছু তাঁর জানা। তিনি নিরপেক্ষ সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করেন না। সাংবাদিকরা চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে মানহানির মামলা করতে পারেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ড. কামাল একজন আইনজ্ঞ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি সারাজীবন স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে বলছেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে নির্বাচন করছে। এখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই পারেন। সম্পাদনা : সমীরণ, রেজাউল আহসান, আমাদের সময়